তাওহীদের প্রকারভেদ একটি পর্যালোচনা (পর্ব-১)
তাওহীদ হচ্ছে এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, মহান আল্লাহ তায়ালা একক, তাঁর রাজত্বে এবং কর্মে কোন শরীক নেই। তিনি তাঁর মৌলিকত্বে এবং গুণাবলীতে অতুলনীয় এবং উপাস্যরূপে চির অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাওহীদের প্রকারভেদ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি যে, তাওহীদকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ তাওহিদ আর-রুবুবিয়্যাহ, তাওহিদ আল-উলুহিয়্যাহ, তাওহিদ আল-আসমা ওয়াস সিফাত।
তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহঃ মহান আল্লাহ তায়ালা সমগ্র জগত ও এর অধিবাসীদের একমাত্র প্রভু এবং তাঁর সার্বভৌমত্বের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেনঃ
وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ، وَلَوْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ
সাবধান, যদি সমস্ত মানব জাতি তোমাকে সাহায্য করার জন্য কিছু করতে চায়, তারা শুধু অতটুকুই করতে সক্ষম হবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য আগেই লিখে রেখেছেন। অনুরূপ, যদি সমস্ত মানব জাতি ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়, তারা শুধু ততটুকুই ক্ষতি করতে সক্ষম হবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য আগেই লিখে রেখেছেন। (তিরমিজী, সহীহ)।
তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহঃ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলাই ইবাদতের একমাত্র হকদার। তার এবাদতে অন্য কোনো শরীক নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَ لَقَدۡ بَعَثۡنَا فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ رَّسُوۡلًا اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰهَ وَ اجۡتَنِبُوا الطَّاغُوۡتَ ۚ فَمِنۡهُمۡ مَّنۡ هَدَی اللّٰهُ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَیۡهِ الضَّلٰلَۃُ ؕ فَسِیۡرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ فَانۡظُرُوۡا کَیۡفَ کَانَ عَاقِبَۃُ الۡمُکَذِّبِیۡنَ
আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে। (সুরা আন-নাহল ১৬: ৩৬)
তাওহীদ আল-আসমা ওয়াস সিফাতঃ মহান আল্লাহ তায়ালা নিজের জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন বা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য যেসব নাম ও গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন তা কোনো সাদৃশ্য, উপমা, বিকৃতি ও পরিবর্তন ব্যতিত সাব্যস্ত করা। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَ لِلّٰهِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡهُ بِهَا ۪ وَ ذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اَسۡمَآئِهٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নামে বিকৃতি ঘটায়। তারা যা করত অচিরেই তাদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে। (সুরা আ’রাফঃ ১৮০)
তাওহীদের প্রকারভেদ সম্পর্কিত মতপার্থক্যঃ তাওহীদের এভাবে প্রকারভেদ করা জায়েজ কিনা এ ব্যাপারে ভিন্নমত রয়েছে। চলমান প্রবন্ধে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
১ম মত (প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত) তাওহীদের এরুপ প্রকারভেদ সম্পূর্ণ জায়েজ। সালাফদের যুগ থেকেই আলেমগণ শরীয়তের বিভিন্ন আহকামের প্রকারভেদ করে আসছেন। আর এই প্রকারভেদ করা হয় সহজতার জন্য এবং শরীয়তের বিধানগুলো যাতে সহজভাবে বুঝা যায় সে জন্য। দ্বীনের ইলমকে সহজভাবে মুসলমানদের কাছে পৌছানোর জন্য এ ধরনের প্রকারভেদ মুস্তাহসান কাজের মধ্যে পড়ে। দ্বীনের সকল পর্যায়ের ইলমের মধ্যেই এরকম প্রকারভেদ করা হয়েছে, যেমনঃ ইলমে তাজভীদ, উলুমুল কোরআন সহ অন্যান্য সকল ইলম। যুগ যুগ ধরে মুজতাহিদ আলেমগণ এই ধরণের প্রকারভেদকে গ্রহন করে এসেছেন।
আলেমগণ তাওহীদের প্রকারভেদ যেভাবে করেছেন তা কোনভাবেই বিদআত নয়, বরং তাওহীদের প্রকারভেদ তৃতীয়-চতুর্থ হিজরি শতাব্দি থেকেই আলেমদের নিকট পরিচিত ছিলো। আল্লামা আবু যায়েদ তাঁর কিতাব “আর-রদ্দু আলাল মুখালিফ” এর মধ্যে তাওহীদের প্রকারভেদ ইমাম ইবনু জারীর তাবারী রহ. থেকে নকল করেছেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَهُمَا فَاعۡبُدۡهُ وَ اصۡطَبِرۡ لِعِبَادَتِهٖ ؕ هَلۡ تَعۡلَمُ لَهٗ سَمِیًّا
তিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যে যা আছে তার রব। সুতরাং তাঁর ইবাদাত কর এবং তাঁরই ইবাদাতে ধৈর্যশীল থাক। তুমি কি তাঁর সমতুল্য কাউকে জান? (সুরা মারিয়ামঃ৬৫)
উক্ত আয়াতকে ভিত্তি রেখেই আলেমগণ তাওহীদের প্রকারভেদ করেছেন। আয়াতের প্রথম অংশে তাওহীদ আর-রুবুবিয়া, দ্বিতীয় অংশে তাওহীদ আল-উলুহিয়া এবং শেষ অংশে তাওহীদ আল-আসমা ও সিফাতকে বুঝানো হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مَا مِنْ شَفِيعٍ إِلَّا مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
নিশ্চয়ই তোমাদের রব আল্লাহ, যিনি ছয়দিনে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি আরশের উপর সমুন্নত হয়েছেন, তিনি সবকিছু পরিচালনা করেন। এমন কোন শাফায়াতকারী নেই, যে তার অনুমতি ছাড়া শাফায়াত করতে পারে। আল্লাহই হচ্ছেন তোমাদের রব। কাজেই তোমরা তারই ইবাদত করো। এরপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ (সূরা ইউনুস: ৩)।
এ আয়াতে তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ এর কথা বলা হয়েছে। তাওহীদের এ অংশে আরবের কাফের মুশরিকরা ঈমান রাখতো, কিন্তু এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসেনি। কারণ তারা আল্লাহর সাথে অন্যান্য বাতিল মাবুদকে শরীক করতো, তার ইবাদতের সাথে মূর্তি ও অন্যান্য বস্তুরও ইবাদত করতো। অর্থাৎ তাঁরা তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ স্বীকার করলেও তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেনি।
যেমন কালামে মাজিদে আরও এসেছেঃ
وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَهُمۡ مَّنۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ لَیَقُوۡلُنَّ اللّٰهُ ؕ قُلۡ اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اِنۡ اَرَادَنِیَ اللّٰهُ بِضُرٍّ هَلۡ هُنَّ کٰشِفٰتُ ضُرِّهٖۤ اَوۡ اَرَادَنِیۡ بِرَحۡمَۃٍ هَلۡ هُنَّ مُمۡسِکٰتُ رَحۡمَتِهٖ ؕ قُلۡ حَسۡبِیَ اللّٰهُ ؕ عَلَیۡهِ یَتَوَکَّلُ الۡمُتَوَکِّلُوۡنَ
আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। বল, ‘তোমরা কি ভেবে দেখেছ- আল্লাহ আমার কোন ক্ষতি চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাক তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমাকে রহমত করতে চাইলে তারা সেই রহমত প্রতিরোধ করতে পারবে’? বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। তাওয়াক্কুলকারীগণ তাঁর উপরই তাওয়াক্কুল করে। (সুরা আয-যুমারঃ ৩৯)।
কাফেররা আল্লাহ তায়ালাকে আসমান এবং জমিনের রব হিসেবে বিশ্বাস করলেও তাঁর ইবাদতে শরিক করে কারন কাফেরগন তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহতে বিশ্বাস করলেও তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেনা। উক্ত আয়াত থেকে এই বিষয়টিই স্পষ্ট হয়।
পবিত্র কোরাআনুল কারীমের এই আয়াতগুলো সহ আরও অনেক আয়াত রয়েছে যেগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে তাওহীদের প্রকারভেদ এর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। সুতরাং বলা যায় আলেমগণ এভাবে যে তাওহীদের প্রকারভেদ করেছেন তা কোরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী সম্পূর্ণ সঠিক এবং উত্তম প্রকারভেদ।
২য় মতঃ কিছু মানুষ যেভাবে তাওহীদের প্রকারভেদ করে থাকে তা সম্পূর্ণ বিদআত এবং নিকৃষ্ট বিষয়। কোরআন এবং সুন্নাহয় এরকম কোন প্রকারভেদ বর্ণিত হয়নি, সালাফদের কেউ এ বিষয়ে উল্লেখ করেননি, নির্ভরযোগ্য কোন আলেম তাওহীদের এই প্রকারকে সমর্থন করেননি। সর্ব প্রথম এ বিদআত চালু করেছেন শায়খ মোহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহাব রহ। এই বিদআত চালু করা হয়েছে একজন খাঁটি মুসলমানকে যেন কাফের বলে দেওয়া যায় যখন সে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের উসিলা দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করবে। কারন তাঁরা ধারণা করে এখানে তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহ ভঙ্গ হয়েছে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেছেনঃ
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ
ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য আদিষ্ট হয়েছে, যতক্ষন না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্র রাসূল। (সহিহ বুখারী, ইফাঃ ২৪)।
এই হাদিসটি মুতাওয়াতির সুত্রে বর্ণিত হয়েছে। এখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন প্রকার তাওহীদের কথা বলেননাই, বরং আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই একথা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বলেছেন। এবং ঈমানের জন্য এটাকেই যথেষ্ট করেছেন। তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহ কেই তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ ও আসমা ওয়া সিফাত বলে সাব্যস্ত করেছেন, অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে কোন প্রকারভেদ করেননাই।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَ اِذۡ اَخَذَ رَبُّکَ مِنۡۢ بَنِیۡۤ اٰدَمَ مِنۡ ظُهُوۡرِهِمۡ ذُرِّیَّتَهُمۡ وَاَشۡهَدَهُمۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ ۚ اَلَسۡتُ بِرَبِّکُمۡ ؕ قَالُوۡا بَلٰی ۚ شَهِدۡنَا ۚ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اِنَّا کُنَّا عَنۡ هٰذَا غٰفِلِیۡنَ
আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব বনী-আদমের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের বংশধরকে বের করলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজদের উপর সাক্ষী করলেন যে, ‘আমি কি তোমাদের রব নই’? তারা বলল, ‘হ্যাঁ, আমরা সাক্ষ্য দিলাম।’ যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, নিশ্চয় আমরা এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম। (সুরা আল-আ’রাফঃ ১৭২)
এখানে মহান আল্লাহ তায়লা বলেছেন ألستُ بربكم কিন্তু এটা বলেননাই بإلهكم
অর্থাৎ তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ এর দ্বারাই পুরো তাওহীদকে বুঝানো হয়েছে। তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ এর সাক্ষ্য দেওয়া মানেই তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহ ও আসমা ওয়া সিফাত সহ পুরো তাওহীদের সাক্ষ্য দেওয়া। তাওহীদ আর-রুবুবিয়্যাহ দ্বারা যেমন পরিপূর্ণ তাওহীদকেই বুঝায়, তেমনি তাওহীদ আল-উলুহিয়্যাহ দ্বারাও পরিপূর্ণ তাওহীদকেই বুঝায়, একইভাবে তাওহীদ আল-আসমা ও সিফাত দ্বারাও পরিপূর্ণ তাওহীদকে বুঝায়। সুতরাং স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় তাওহীদ একক, এর কোন প্রকার নেই।
মুলত এই প্রকারভেদের পিছনে রয়েছে আশআরী আকিদা অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ চক্রান্ত, অর্থাৎ প্রকারভেদকারীগণ এই বিদআতি প্রকারভেদের দোহাই দিয়ে বলবে আশআরীগণ তাওহীদ আল-আসমা ও সিফাত স্বীকার করেনা তাঁরা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত নয়, কারন তাঁরা আল্লাহর সিফাতকে তাফভিয এবং তাবিল করে। অথচ এই প্রকারভেদই যেখানে বিদআত সেখানে এই প্রকারভেদের আশ্রয় নিয়ে কিভাবে একটি সঠিক আকিদার দলকে ভ্রান্ত বলা যায়!