হাদীস

হাদীস সহিহ জইফ হওয়ার ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসগণের মতপার্থক্যে আমাদের করণীয় কি?

হাদীস

হাদীস সহিহ জইফ হওয়ার ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসগনের মতপার্থক্য এবং ফিকহি মাসআলায় ফোকাহাগনের মতপার্থক্য দুটো এক বিষয়। কারণ একটি হাদীসের সনদ ও মতনের শুদ্ধতা নিরূপণ করা ইজতিহাদের অন্তর্ভুক্ত। কখনো কোন রাবির ত্রুটি একজন মুহাদ্দিসের নিকট স্পষ্ট হলেও অন্যজনের নিকট অস্পষ্ট থেকে যেতে পারে, আবার কখনো একজন মুহাদ্দিসের নিকট একটি মতনের শাহেদ বা মুতাবিআত পৌছলেও অন্যজনের নিকট নাও পৌছতে পারে অথবা নির্দিষ্ট একজন রাবীর আদালত এবং যবতের বিষয়ে মুহাদ্দিসগনের মতপার্থক্যের কারণেও হাদীসের হুকুম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও হাদীস গ্রহণ এবং বর্জনের আরও কিছু মৌলিক নিয়মাবলীর কারণেও একেকজন মুহাদ্দিসের নিকট একটি হাদিসের মান একেক রকম হতে পারে।

ইমাম তিরমিজি (র:) বলেন: ইমামগন সনদ জইফ হওয়ার বিষয়ে মতপার্থক্য করেন যেমনিভাবে তারা  অন্যান্য ইলমের ক্ষেত্রেও মতপার্থক্য করেন। (ইলালঃ ৫/৭৫৬)

আমাদের করণীয়: যদি একজন আলেম মুহাদ্দিসগনের মতামতগুলোকে একত্রিত করে কোন একটি মতামতকে প্রাধান্য দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন তাহলে তিনি তাঁর নিকট প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতটি গ্রহণ করবেন। আর যদি তিনি কোন একটি মতকে প্রাধান্য দেওয়ার মত যোগ্যতা সম্পন্ন না হন তাহলে সেই মুহাদ্দিসের মত গ্রহণ করবেন যিনি তাঁর নিকট দ্বীন এবং ইলমের ক্ষেত্রে অন্যদের চাইতে অগ্রগামী। আর একজন সাধারণ মুসলমানও দ্বিতীয় পদ্ধতিটিই অনুসরণ করবেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সুন্নাহ দিয়ে জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।